Skip to main content

Posts

Showing posts from October 28, 2018

খুকির প্রত্যাবর্তন, ও ধন্যবাদগাথা

সেই সময়ের কথা। যখন পাশের পাড়াকে মনে হত পৃথিবীর শেষ প্রান্ত, আর মাসিক পত্রিকার শিশুবিভাগে কাঁচাহাতের গল্প-কবিতা লিখে পাঠাবার সময় বাদামী খামের বাঁদিকে গোটা গোটা অক্ষরে লিখতাম "প্রযত্নে.. বাবার নাম"। যখন যাবতীয় সৃষ্টিশীল শিল্পচর্চার বিপরীতে প্রাকৃতিক বিজ্ঞানকে মনে হত গম্ভীর প্রাণহীন ব্যাপারস্যাপার; অন্যদিকে কল্পবিজ্ঞান আর খবরের কাগজে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের কথা পড়ে রুশদেশী উপকথার অজানি-দেশের-না-জানি-কী এর মত অদ্ভুত ঘোরলাগা রোমাঞ্চ হত। তালগোল পাকিয়ে যেত সব। যখন বিদেশ মানে আমার কাছে বাংলার বাইরের সমগ্র বিশ্ব - কোনোকালেই যার ধারেকাছে পৌঁছানো হবে না আমার। এইসব ছাইপাঁশ ভাবতে ভাবতে যখন শীতের নিস্তব্ধ দুপুর বা গরমের ভ্যাপসা বিকেলে স্কুলের বারান্দায়-পার্কের মাঠে এমনকি জনবহুল বাজারহাটেও কেমন করে যেন নিজের মধ্যে ভীষণভাবে একা হয়ে যেতাম। অন্তরীপের মত।  তারপর, জীবন গিয়েছে চলে একটি দশক পার। যেসব মানুষের সাথে প্রতিদিন কথাবার্তা হয়, যাদের ওপর আমার দৈনন্দিন যাপন অনেকখানি নির্ভর করে থাকে, সেইসব মুখ বদলেছে। নতুন মুখের ভিড়ে ছোট্ট...

অ-লক্ষ্মীমন্ত(র)

বাল্যকালে আমি ভারী চঞ্চল ও বদবুদ্ধির অধিকারিণী ছিলেম। শান্ত নিস্তরঙ্গ জীবন ও পানাপুষ্করিণীতে আমি তেমন পার্থক্য দেখিনে। অত্যধিক প্রশ্রয়ে মালতীলতা কিংবা বনসাইতুল্য হইবার পরিবর্তে অনাদরের আগাছা ও পরিমিত যত্নের উদ্ভিজ্জ হইতেই আমার আগ্রহ বেশী। তদুপরি জন্মসূত্রে মেয়েমানুষ মাত্রেই যে গৃহলক্ষ্মীর ন্যায় অচলা অবলা মৃৎপুত্তলিকা হইবার নিমিত্ত বলিপ্রদত্ত  -  এইরূপ কুশিক্ষা কদাপি পাই নাই বলিয়া দিনে দিনে আমি এক সার্থক হনুমতীরূপে শ্রীবৃদ্ধি লাভ করিতেছিলাম। এতদকাল লৌকিক ও সামাজিক উপাচার বলিয়া যাহাসকল পালিত হইয়াছে ,  তাহার কোনোরূপ যৌক্তিক ব্যাখ্যা পাইবার পূর্বাবধি আমি নিয়মের অনুগামিনী হইতে অপারগ ছিলাম। যাহাই হউক ,  শাখামৃগের পক্ষে সাধুভাষা অবলম্বন স্বাস্থ্যহানিকর। এতে মাথা ভার হয়ে যায় ,  কিলবিল করতে থাকা দুশ্চিন্তনীয় পরিকল্পনাসমূহ কেমন গৃহপালিত লক্ষ্মীপেঁচার মত গুটিশুটি মেরে বসে। যে গল্প  ( পড়ুন :  নির্জলা সত্য ঘটনাবলী )  বলবার জন্য এই ভণিতা ,  সেটাই বরং বলে ফেলা যাক। বড়দাদার (হনুসং...