Skip to main content

Posts

Showing posts from December 24, 2017

যাতায়াত-১

আমার দূরপাল্লার ট্রেনযাত্রার অভিজ্ঞতা বরাবরই বেশ ভালো। দু-একটা অবাঞ্ছিত ঘটনা যে ঘটে না তা নয়, তবে সেসব মনে না রাখাই শ্রেয় (সতর্ক থাকাটুকু ছাড়া)। সে অর্থে প্রথম পশ্চিমবাংলার বাইরে বেরনো কলেজের দ্বিতীয় বছরে। কুড়ি বছর বয়সে। একধাক্কায় পুণে, দুহাজার কিলোমিটারের বেশী দূরত্ব। পূর্ব থেকে একেবারে পশ্চিমে। প্রথম শীতাতপ কামরার আমেজ, রেল কর্তৃপক্ষের দেওয়া চারবেলার আহার্য্য - প্রায় একদিন ট্রেনেই গতিশীল বসবাস। সহপাঠীদের সঙ্গে। সাতদিনব্যাপী শিক্ষামূলক ভ্রমণ। গবেষণা প্রতিষ্ঠানে। সবকিছুই প্রথম ছিল। এমনকি হাওড়া স্টেশনের সাথে আলাপও মূলত তখন থেকেই।   উদ্যোক্তা ছিলাম মূলত আমরাই। চিঠিচাপাটির প্রত্যুত্তর ইত্যাদির ব্যাপারে অধ্যাপকদের নিয়মিত তাগাদা দেওয়া ছাড়া তেমন কিছু করতে হয়নি; যদি না চারজন মিলে দেড় লক্ষ নগদ টাকা (ত্রিশজনের মাথাপিছু পাঁচহাজার ইত্যাদি) ব্যাগে ভরে  অতিব্যস্ত জনবহুল কলেজস্ট্রীট থেকে বাসে শেয়ালদা গিয়ে, কৌতূহলী ভিড়ে ঠাসা  কাউন্টারের সামনে রুদ্ধশ্বাসে প্রতি  ছয়জনের টিকিটের  খরচ  আ লাদা করে গুনেগেঁথে, সকলে এক কামরাতেই পাবে এইসব নিশ্চিত করে, ক...

হেমন্তিকার চিঠি

শীত এসে গ্যালো। ক্রান্তীয় সমতলভূমির গৃহস্থের কাছে যা মূলত একটি ধারণামাত্র। গনগনে আগুনের আঁচ বাঁচিয়ে আলোটুকু উপভোগ করার আয়েসে যতখানি বিচক্ষণতা ও পিছুটান থাকে।   ভোরের আলো ফুটবার আগেই হাড়কাঁপানো উত্তুরে হাওয়ার শাসন তুচ্ছ করে মাতৃময়ী খেজুরগাছের কোল থেকে ছিনিয়ে আনা হবে অমৃতধারা। সুরাপ্রতিম বনেদি পানীয়। বিশালাকার লোহার কড়াইতে জ্বাল দিয়ে তার লাস্যময় তারল্যে যোগ হবে সান্দ্রতার আভিজাত্য, প্রস্তুত হবে পাটালিগুড়। যা নবান্নের ধান্যজাত চিঁড়ে-মুড়ি-খৈ এর মোয়ার এক ও অদ্বিতীয় সংযোজী উপাদান। এবং দুগ্ধজ মিষ্টান্নের সমাদৃত অলংকার। মুড়কি আর জয়নগরের ধাত্রীমাও বটে। মহানাগরিক এইসব স্বর্গসুখ থেকে অনেকাংশে  বঞ্চিত। তারা বালাপোষের আড়মোড়া মেখে  কেবল ঋতু উদযাপনের স্বার্থে চিনিদুধে সম্পৃক্ত বাজারচলতি কফির আস্বাদ নিয়ে 'শীতের সকাল' রচনা লিখতে শিখেছে।          ঝকঝকে রোদ উঠলে অবশ্য সবেতেই নিশ্চিন্তির মফস্বলী ছায়া নেমে আসে। দুপুরের আলসে রোদ্দুরে দার্জিলিং ও নাগপুরী কমলালেবুর স্বাদ এবং রূপটানে খোসার উপযোগিতা নি...