ডাল, আমবাঙালীর জীবনের অনিবার্য অংশ। যখন নিজেকেই সময় দেবার অবসর হয় না, সেইসব অতিব্যস্ত দিন থেকে শুরু করে ছুটির মেজাজে বিশেষ কোনো উদযাপন, সর্বত্র রূপে-গন্ধে-স্বাদে ইন্দ্রিয়সুখের ডালি নিয়ে তারা হাজির। সেইসব জড়ো করে এ অধম বুভুক্ষুর দু-চারটি প্রলাপ। সোনামুগডাল । বর্ষামুখর রাতে খিচুড়ির উপকরণ হিসাবে যার কদর কেবল অর্ধাঙ্গিনীর। তার আসল রূপ খোলে বিয়েবাড়ীর মধ্যাহ্নভোজে মুড়িঘন্টের ডালে। সঙ্গে জুঁইফুল ভাত। অনেকদিনের অসুস্থতার পর ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়লে যেমন ঝরঝরে লাগে, তেমনি মুক্তকচ্ছ ধবল ভাত- যত্ন করে যা আঙুলে মেখে নেওয়া যায়। সন্ধ্যেবেলার চর্ব্যচোষ্যের আতিশয্যের মুখড়ায় এ একান্তই আত্মীয়তার আন্তরিক উদযাপন। অবশ্য অহিংস জনগোষ্ঠীর জন্য ফুলকপি-আলু-কড়াইশুঁটির সুযোগ্য বিকল্প থাকে। সকলের সঙ্গে পাত পেড়ে বসে খাবার যে ভরপেট আনন্দ, তা ছাড়া বোধহয় এই ডালের নবাবী স্বাদের ন্যায্য মূল্যায়ন হয় না। নিজামতের কথা যখন উঠল, ছোলার ডালের কথা না বললেই নয়। নারকোলের ফিনফিনে টুকরো আর অর্ধচন্দ্রাকৃতি কাজুবাদামের বনেদিয়ানায় সে এক রাশভারী নৈবেদ...
কুলুঙ্গি - বারকোশ - সিন্দুকে তালাবন্ধ জীবাশ্মের কথকতা