Skip to main content

Posts

Showing posts from November 19, 2017

(অ)দরকারী

অভাব, অভাব আর অভাব। এখানে কচুর লতি পাওয়া যায় না, মেটে আলু পাওয়া যায় না, বিচেকলা পাওয়া যায় না, শীষপালং পাওয়া যায় না। অভাবের দেশে যা অপ্রতুল, আন্তর্জাতীয় সমারোহে তা দুষ্প্রাপ্য, বিপন্ন।  যেখানে পুকুরপাড় থেকে তুলে আনা কলমীশাকের সাহচর্যে লবণাক্ত ফেনাভাতের অমৃতসমান তৃপ্তি, বা খুচরো ভাজাভুজির সঙ্গতে ছাঁচিপেঁয়াজ আর পান্তাভাতের প্রশান্তি, নিদেনপক্ষে বাজরার ধোঁয়া ওঠা চাপাটির সাথে খেজুর কিংবা আখের গুড় - সেইসব বসুন্ধরা কোথায় ? এখানে যা সহজলভ্য, তা হলো একই সব্জীর বিবিধ প্রকার। এমনকি আলু-শসা-টমেটোর মত নিরীহ জিনিসপত্রেরও। আবার কীটনাশক বিহীন (organic) হলে তার অতিরিক্ত (ক)দর। তাদের চেহারা দেখে আলাদা করা, আর বাজারের শেষ অবধি লেবেলে সাঁটা দুর্বোধ্য নাম মনে রাখা ছোটদের পত্রিকার 'অমিল খোঁজো তফাৎ বোঝো'র চেয়ে ঢের মুশকিলের। স্বোপার্জিত অর্থ - সুতরাং দায়বদ্ধতার ঘোরপ্যাঁচ নেই - সবরকমই একবার করে ঘুরিয়েফিরিয়ে পরখ করা হল। নিজের ঘ্রাণশক্তি বা স্বাদকোরকের সংবেদনশীলতা নিয়ে আমার সংশয় নেই; তাই চেখে দেখতেই বোঝা গেল ...

অসংলগ্ন

জ্বরের ঘোরে সবকিছু অন্যরকম লাগে। কপাল জুড়ে কাঠকয়লার উনুন। ওমের বদলে ছ্যাঁকা। মর্গের মতো ভয়াল ঠান্ডা হাতপায়ের তালু। লক্ষণ সুবিধের নয়।  ইন্দ্রিয়ের আশেপাশে শেকল পড়ে গ্যাছে। অবসাদের চেয়েও ভারী। বা শান্তিনিকেতনী শাল। আরো ওজনদার। শাল বলতে আবার বনেদী কাঠের কথা মনে আসে। নিরক্ষীয় বর্ষাপ্রবণ অঞ্চলের আদিম মহারণ্য। ঘন, অন্ধকার। কারাগারের কুঠুরির মতো। চেনা আসবাব, দৈনন্দিন ব্যবহার্য সালভাদর দালির চিত্রকল্পের মতো, ধনুষ্টঙ্কারের যন্ত্রণার মতো গলে পড়তে থাকে এঁকেবেঁকে। সাততলার জানলার জাল দিয়ে রাতের নাগরিক আকাশ বা রাজপথ অলস আলকাতরার মতো কালো মনে হয়। ঘর গরম রাখার যন্ত্রে একঘেয়ে আওয়াজ। শ্রুতিনির্বন্ধ। ঝিঁঝির ডাকের মত আচ্ছন্ন লাগে। ঘর্মক্লান্ত গরমের দিনে পুরোনো পাখার আওয়াজে যেমন ঝিম ধরে আসতো। বেসিনে জল পড়ার শব্দ শুনে নোঙর মাস্তুল ডিঙি নৌকার কথা মনে পড়ে। ইন্দ্রনাথের কথা, হাকলবেরি ফিনের কথা, ফটিকচাঁদের কথা। অপক্ক হাতে দিনান্তের সৈকতে তাজা মাছ কেনাবেচার প্যাস্টেল ছবি আঁকার কথা।  খিদিরপুর  ডকে প্রথমবার বাণিজ্যিক জাহাজ...