এক চান্দ্রমাস হয়ে এলো প্রায়। পশ্চিম গোলার্ধের জলহাওয়া, গাছপালা, ঘরবাড়ী, লোকজন সবই মোটামুটি ধাতস্থ হয়ে এসেছে। নতুন যাপন, অপরিচিত সাংস্কৃতিক ধরণধারণ। যদিও আমাদের প্রজন্মে বিশ্বায়নের দাপটে কোনো কিছুই তেমন অপ্রত্যাশিত নয় আর। মূল ফারাক এই যে এখানে সব কিছু বড় বেশী মসৃণ, স্বচ্ছন্দ, পরিমিত। অনধিকার চর্চার বদভ্যেস কারো নেই, তেমনি পাড়াসুলভ এমনকি হাউজিং কমপ্লেক্সসুলভ আত্মীয়তাও আশা করে না কেউ। সম্ভবত রন্ধনপ্রণালী, পরিবেশন আর খাদ্যাভ্যাসে এর একটা বিচিত্র প্রতিফলন খেয়াল করা যায়। একেই যুক্তরাষ্ট্রের স্বতন্ত্র খাবারদাবার বলতে আদৌ কিছু আছে কিনা তা তর্কসাপেক্ষ। তার ওপর বহু পরিচিত বিদেশী খাবারই ভারতীয়করণের পর যে আদল নিয়েছে তা নিঃসন্দেহে এখানকার চেয়ে স্বাদে ও রূপে ভিন্ন। বহুজাতিক রসনার সাথে সামঞ্জস্য রাখতে গিয়ে এখানে কোথাও, সে রেস্তোরাঁ, পিকনিক বা পার্টি যাই হোক রেঁধেবেড়ে সাজিয়েগুছিয়ে খেতে দেবার প্রথা খুব একটা নেই - সমস্ত সম্ভাব্য উপকরণ যে যার জায়গায় স্তূপীকৃত হয়ে থাকে, আন্দাজ বা পছন্দমত মিলিয়েমিশিয়ে নিলেই হল। তার না আছে ক্রমানুসার,...
কুলুঙ্গি - বারকোশ - সিন্দুকে তালাবন্ধ জীবাশ্মের কথকতা